শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের আন্দোলন, অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করছেন ! জেনে নিন ক্ষতি কতটা ! সব হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ঘোষণা চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, জরুরি বিভাগসহ সব সেবা বন্ধ ঢামেকে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা -স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ স্বাস্থ্যের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন ছড়িয়ে পড়ছে এমপক্স ভাইরাস, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ডব্লিওএইচওর ঢাকা মেডিকেলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ! পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের সুপার-স্পেশালিটি হেলথ-কেয়ার “নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল-এনপিএমসিএইচ” বাজারে ৬৫ হাজার টাকার ‘ভুয়া’ ক্যান্সার ইনজেকশন

মহামারী রূপ নিচ্ছে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স, জরুরি কঠোর নিয়ন্ত্রণ

অপ্রয়োজনীয়, অতিরিক্ত এবং অনিয়মিত এন্টিবায়োটিক সেবনের কারণে আপনার শরীরে ব্যাকটেরিয়াগুলো অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল শিখে ফেলে, এবং তাদের মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন ব্যাকটেরিয়াও একই বৈশিষ্টপ্রাপ্ত হয়। এভাবে তারা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তো কমিয়ে দিচ্ছেই, পাশাপাশি সেই পরিবর্তিত ব্যাকটেরিয়া অন্যদের শরীরে ঢুকে একইভাবে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে।

এভাবে একজনের শরীরে এক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ক্ষমতা লাভ করলে, সেটি অন্যের শরীরেও সংক্রমিত হচ্ছে। ফলে, মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ছে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। আর আমরা ধাবমান হচ্ছি ভয়াবহ পরিণতির দিকে।

আমাদের দেশে চারভাবে এন্টিবায়োটিক প্রেস্ক্রাইবড হয়, যথা:

ক. চিকিৎসক দ্বারা যৌক্তিক এন্টিবায়োটিক প্রেস্ক্রিপশন,
খ. চিকিৎসক দ্বারা অযৌক্তিক এন্টিবায়োটিক প্রেস্ক্রিপশন,
গ. কোয়াকদের প্রেস্ক্রিপশনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে এন্টিবায়োটিক,
ঘ. রোগী নিজেই দোকান থেকেই কিনে খান।

‘ক’ গ্রুপের অধীনে যেসব রোগী আছেন তারা নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবন করেন না। কিন্তু অন্য তিনটি গ্রুপের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট ব্যাক্টেরিয়া সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। ‘ক’ গ্রুপ এক্ষেত্রে বৃথা কষ্ট করছেন। কারণ যারা যৌক্তিকভাবে এন্টিবায়োটিক সেবন করছেন, তারা অযৌক্তিকভাবে এন্টিবায়োটিক সেবনকারীদের মাধ্যমে তৈরি হওয়া রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া দিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ফলে বিচ্ছিন্নভাবে যৌক্তিক এন্টিবায়োটিক সেবন বা প্রেস্ক্রিপশন করে কোনো লাভ নেই। সুতরাং এটি কঠোরভাবে একযোগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এক সময় আপনার শরীরে আর কোন এন্টিবায়োটিক কাজ করবে না৷ ছোট কাঁটা ছেড়া বা সামান্য ঠাণ্ডা কাশিতেও মৃত্যুর মুখে পতিত হতে পারেন।

পরিশেষে, আমাদের ঠাণ্ডা জ্বর বেশিরভাগ সময় ভাইরাসজনিত। ৫-৭ দিনে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আর এন্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাক্টেরিয়াকে ধ্বংস করার জন্য। তাই দয়া করে শুধু শুধু এন্টিবায়োটিক খাবেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ ফলো করুন

Categories