বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের আন্দোলন, অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করছেন ! জেনে নিন ক্ষতি কতটা ! সব হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ঘোষণা চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, জরুরি বিভাগসহ সব সেবা বন্ধ ঢামেকে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা -স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ স্বাস্থ্যের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন ছড়িয়ে পড়ছে এমপক্স ভাইরাস, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ডব্লিওএইচওর ঢাকা মেডিকেলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ! পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের সুপার-স্পেশালিটি হেলথ-কেয়ার “নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল-এনপিএমসিএইচ” বাজারে ৬৫ হাজার টাকার ‘ভুয়া’ ক্যান্সার ইনজেকশন

হাঁটার কিছু সাধারণ ভুল যেভাবে এড়িয়ে চলবেন

হাঁটাকে সহজ ব্যায়ামের মধ্যে একটি ধরে নেওয়া হয়ে থাকে। এটিকে ক্লাসিক ব্যায়ামও বলা হয়। কিন্তু প্রতিদিনের এই হাঁটার অভ্যাসেই রয়ে যাচ্ছে কিছু সাধারণ ভুল, যার কারণে আমরা এর উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

এই সহজ ব্যায়ামটির অভ্যাসে কোনো আনুষঙ্গিক মেশিনের প্রয়োজন না হওয়ায় প্রায় সবাই এই ব্যায়ামটিকে জীবনের একটি অংশ করে নিয়েছেন। কারণ, অন্য সব ব্যায়াম অনুশীলনের যে সুফল তার সবই এই একটি ব্যায়াম অভ্যাস করার মাধ্যমে পাওয়া যায়।

গবেষণা বলছে, মাত্র ৩০ মিনিটের হাঁটার অভ্যাসে ১০০-৩০০ ক্যালরি বার্ন করা সম্ভব। সেই সঙ্গে এটি ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেশার, স্ট্রোক ও কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।

পেশি ও হাড়ের কার্যকারিতা বাড়াতে, দুশ্চিন্তা কমাতে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন। ছোট, বড় কিংবা বয়স্ক সবাই এই ব্যায়ামটি করতে পারেন খুব সহজে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা নির্ভর করে আপনার হাঁটার সময় কত ক্যালরি বার্ন হচ্ছে তার ওপর। আর ক্যালরি বার্ন নির্ভর করে আপনার হাঁটার গতির ওপর। তাই হাঁটার সময় বেশ কিছু বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

এ জন্য প্রথমেই আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, ভারি খাবার খেয়ে কখনো হাঁটবেন না। এতে হাঁটতে কষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাকস্থলীতে চাপ পড়ে। তাই হালকা কোনো কিছু খেয়ে হাঁটতে যান।

হাঁটার আগে হালকা ব্যায়াম করে নিলে বেশ উপকার পাবেন। স্ট্রেচিং বা চেয়ারে খানিকটা ওঠবস করতে পারেন। এতে শরীরের পেশিগুলো একটু সচল হবে।

হাঁটার সময় কখনোই বড় বড় পা ফেলবেন না। এতে কিন্তু শ্বাস নেওয়ার সমস্যা হতে পারে। আপনার হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যেতে পারে। তাই হাঁটার সময় ছোট ছোট পা ফেলুন, কিন্তু জোরে হাঁটুন।

স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটার জন্য বেছে নিন ঢিলেঢালা পোশাক এবং সঠিক পায়ের জুতা। তবে খুব নরম জুতা ব্যবহার করবেন না। হাঁটার সময় শরীরকে রিল্যাক্সে রাখুন।

পেশিগুলো কিছুটা প্রসারিত করুন। এটি আপনাকে নমনীয় থাকতে সাহায্য করবে। এ ক্ষেত্রে হাঁটার সময় শরীরের মতো একই গতিতে আপনার দুই হাত দোলাতে পারেন।

হাঁটার সময় একই পথে হাঁটার অভ্যাসে বিরত থাকুন। সেই সঙ্গে চেষ্টা করুন হাঁটার সময়ও পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করতে। গবেষকরা বলছেন, হাঁটার সময় গভীরভাবে হাঁটার দিকেই মনোযোগ দিন। কোনোভাবেই এ সময় কারো সঙ্গে গল্প বলা, মোবাইল দেখা বা গান শোনা যাবে না।

হাঁটার সময় প্রায় সবাই যে ভুলটি বেশি করেন তা হলো, মাথা নিচু করে হাঁটা। এভাবে কখনোই হাঁটবেন না। আপনার মাথা সোজা রাখুন এবং আপনার ঘাড়, পিঠ ও কাঁধ একই সরলরেখায় রাখতে চেষ্টা করুন। এই সাধারণ ভুলগুলো এড়িয়ে চলতে পারলেই আপনার হাঁটার অভ্যাসে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে।

সূত্র: বিদেশী জার্নাল অবলম্বনে ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ ফলো করুন

Categories