পায়ের শিরাগুলো ফুলে উঠছে কেমন যেন। আঁকাবাঁকা শিরা দেখা যাচ্ছে। নীল শিরাগুলো একটু যেন বেশি দৃশ্যমান। এই সমস্যার নাম ভ্যারিকোস ভেইন। এই সমস্যায় প্রথম দিকে কেবল পায়ের শিরায় বারবার টান খায়, বিশেষ করে ঘুমের মধ্যে। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে পা ফুলে যায়। পরে পায়ের শিরাগুলো ফুলে ওঠে।
যাদের জন্মগতভাবে শিরার গাত্র বা ভাল্ভে দুর্বলতা আছে, তাদের এই রোগ হতে পারে। যাঁরা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করেন, তাঁদেরও এই সমস্যা বেশি হয়। এ জন্য একসময় একে ট্রাফিক পুলিশের রোগ বলা হতো। পোশাকশ্রমিক, শিক্ষক, চিকিৎসক বা নার্সদের তাই এ সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়। এ ছাড়া গর্ভাবস্থা, পেটের টিউমার বা পেটে পানি জমলে শিরার ওপর চাপ পড়েও এই সমস্যা হয়।
রোগের শুরুতে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। দীর্ঘ সময় একইভাবে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন না, বিশেষ করে পা দুটো ক্রস করে বসে থাকা। নিয়মিত ব্যায়াম করুন যাতে পায়ে র’ক্ত চলাচল ঠিক থাকে। ওজন কমান। পায়ে কমপ্রেশন স্টকিং বা বিশেষ মোজা পরা যায়। ঠিকঠাক চিকিৎসা না করালে পরে এ থেকে পায়ে আলসার বা ক্ষত হতে পারে, কালো হয়ে যেতে পারে, র’ক্তপাত হতে পারে। এমনকি ত্বক শক্ত হয়ে বা র’ক্ত জমাট বেঁধে নালি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই ভ্যারিকোস ভেইনের চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
অস্ত্রোপচার করে সমস্যা দূর করা যায়। আজকাল লেজার পদ্ধতিতে কাটাছেঁড়া ছাড়াই চিকিৎসা করা হয়। এ ধরনের চিকিৎসা বর্তমানে বাংলাদেশেই সহজলভ্য।