Warning: Creating default object from empty value in /home/banglahealthtv/public_html/wp-content/themes/demotvtwo/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
রান্না করা মাংস ফ্রিজে কয়দিন রাখা যায় - বাংলা হেলথ টেলিভিশন - Bangla Health TV রান্না করা মাংস ফ্রিজে কয়দিন রাখা যায় - বাংলা হেলথ টেলিভিশন - Bangla Health TV
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

রান্না করা মাংস ফ্রিজে কয়দিন রাখা যায়

অনেকেই সময় বাঁচানো বা অন্যান্য কারণে রান্না করা মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম না মানলে হতে পারে বিপত্তি। এমনকি ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হবার কারণে অসুস্থ হবারও শঙ্কা থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন রান্না করা মাংস ফ্রিজে সরংরক্ষণের ক্ষেত্রে বড় আকারের টুকরো রাখা যাবে না। রোস্ট করা যে কোনো মাংস বা আস্তু রান্না মুরগি খাওয়ার পর বেঁচে গেলে অবশ্যই ছোট টুকরা করে রেফ্রিজারেইটরে রাখতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) বরাত দিয়ে ইটদিস ডটকম-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, রান্না করা বড় টুকরার মাংস অবশ্যই ছোট টুকরা করে ফ্রিজে রাখতে হবে। না হলে খাবার নষ্ট হবে তাড়াতাড়ি।

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হবে। সিডিসি’র তথ্যানুসারে, বেচে যাওয়া খাবার দুই ঘণ্টার মধ্যে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়।

বেশি গরম অর্থাৎ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে থাকার পর রান্না খাবার ফ্রিজে রাখতে হবে এক ঘণ্টার মধ্যে।

আর এটা না করতে পারলে খাবারে জন্মাতে থাকবে ব্যাক্টেরিয়া। আর এই ক্ষেত্রেও মাংসের বড় টুকরা থাকলে ছোট করে নিতে হবে।

রান্না মাংস ফ্রিজে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভালো থাকে: বেশি দিন ফ্রিজে রেখে রান্না করা মাংস খাওয়ার ইচ্ছে থাকলে সেই পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে। কারণ ‘ইউ.এস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)’য়ের তাথ্যানুসারে, ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হলেও রান্না-মাংস বেশি দিন ফ্রিজে ঠিক থাকবে না।

আবার মাংসের ধরনের ওপর নির্ভর করবে কত দিন ঠিক থাকবে। যেমন- সসেজ ধরনের মাংস রান্নার পর ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফ্রিজে রাখতে পারলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে।

অন্যান্য রান্না করা মাংস ও হাঁস-মুরগি ফ্রিজে ভালো থাকবে তিন থেকে চার দিন। তবে যত কম সময়ের মধ্যে খাওয়া যাবে, ততই মঙ্গল হবে।

ব্যাক্টেরিয়া জন্মানো খাবার থেকে অসুস্থতার আশঙ্কা আছে। সিডিসি’র তথ্যানুসারে, মাংসে সাধারণত ই.কোলি এবং সালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়া সহজেই পাওয়া যায়। আর এই ব্যাক্টেরিয়া জন্মানো খাবার খেলে বিষক্রিয়া হবেই।

ই.কোলি ব্যাক্টেরিয়ার কারণে দেখা দেয়- ডায়রিয়া, মূত্রাশয় ও ফুসফুসে সমস্যা এবং মলের সঙ্গে রক্ত যাওয়া। সালমোনেলা কারণে খাবারের বিষক্রিয়া থেকে অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনা থাকেই।

৫ বছরের নিচে শিশু, ৬৫ বছরের ওপরে প্রাপ্তবয়স্ক, গর্ভবতী ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তারা সহজেই এই ব্যাক্টেরিয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

ডায়রিয়া ও বমি দুদিনের মধ্যে না থামলে, মলের সঙ্গে রক্ত গেলে ১০২ ডিগ্রির ওপর জ্বর থাকলে বা পানি শূন্যতা, মূত্রশয়ে জ্বালাপোড়া দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ ফলো করুন

Categories