বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের আন্দোলন, অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করছেন ! জেনে নিন ক্ষতি কতটা ! সব হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ঘোষণা চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, জরুরি বিভাগসহ সব সেবা বন্ধ ঢামেকে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা -স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ স্বাস্থ্যের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন ছড়িয়ে পড়ছে এমপক্স ভাইরাস, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ডব্লিওএইচওর ঢাকা মেডিকেলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ! পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের সুপার-স্পেশালিটি হেলথ-কেয়ার “নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল-এনপিএমসিএইচ” বাজারে ৬৫ হাজার টাকার ‘ভুয়া’ ক্যান্সার ইনজেকশন

ডা. সাবরিনা-আরিফুলসহ আট আসামির ১১ বছরের কারাদণ্ড

ডাক্তার সাবরিনা আরিফ চৌধুরী

করোনা পরীক্ষা না করে ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার দায়ে বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা  প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডাক্তার সাবরিনা আরিফ চৌধুরী এবং তাঁর স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

আজ (মঙ্গলবার) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত অপর ছয় আসামি হলেন জেকেজির সমন্বয়ক সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা।

রায় ঘোষণা উপলক্ষে সাবরিনা, আরিফুলসহ অন্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথ কেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশির ভাগই ‘ভুয়া’ বলে চিহ্নিত হয়। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

পরে ডাক্তার  সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় ২০২০ সালের ১২ জুলাই দুজনকেই গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেফতারকালে ডাক্তার সাবরিনা জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা-আরিফসহ আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা এবং বাকি আসামিদের প্রতারণা ও জালিয়াতির কাজে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর পর ২০ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। চলতি বছরের ২০ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

মামলার রায় ঘোষনার পর জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি তো সেদিনই মরে গেছি। যেদিন আমাকে কারাগারে ঢোকানো হয়েছে। আমি কারাগার থেকে বের হবো কি না, বড় কথা না। বড় কথা হলো- দেশবাসী জানল আমি অপরাধী’।

প্রতিক্রিয়ায় সাবরিনা আরও বলেন, ‘একটা কথাই বলব- আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। একদিন মানুষ জানবে সাবরিনা নিরপরাধ ছিল।

সুত্রঃপার্সটুডে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ ফলো করুন

Categories