অভিযুক্ত যুবক মঞ্জুরুল হায়দার জনি (৩৫) উপজেলার মৃত শাহাদাত উল্যাহর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ফার্মেসি দোকানদার।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত ২০ জুলাই ওই নারী প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এরপর বুধবার (২০ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বখাটে জনি ডাক্তার সেজে ওই নারীর কেবিনে যান। পরে ওই যুবক তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে হয়রানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলেও জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসাধীন নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. তানজিনা হককে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শহীদুল আহমেদ নয়ন, ডা. ইকরাম বিন ফারুক ও নার্সিং সুপারভাইজার আয়েশা আক্তার। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন মো. মাসুম ইফতেখার বলেন, এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। এছাড়া এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ন কবির জানান, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনায় চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে চিকিৎসক তাহমিনা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।