ভারতের নয়াদিল্লিতে আরেক বিদেশি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটির রাজধানীতে চার জন সংক্রামক রোগটিতে পজেটিভ এসেছেন।
এনডিটিভির খবর বলছে, নতুন আক্রান্ত হলেন ৩১ বছর বয়সী একজন নারী। সম্প্রতি তিনি বিদেশ সফরে ছিলেন কিনা; এখন পর্যন্ত তা জানা সম্ভব হয়নি। কেরালা ও দিল্লি মিলিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত ৯ মাঙ্কিপক্স রোগীর খোঁজ মিলেছে।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা গেছে, আক্রান্ত ওই নারীর শরীরে জ্বর ও ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা গেছে। তিনি লোক নায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে বুধবার (৩ আগস্ট) পজেটিভ ফল এসেছে।
এরআগে মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এক বিদেশি নাগরিক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হন। তবে সম্প্রতি তিনি কোনো বিদেশ সফরে যাননি। তাকে সরকারি এলএনজেপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতেও মাঙ্কিপক্স রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার।
সোমবার এলএনজেপি হাসপাতাল থেকে ভারতের প্রথম মাঙ্কিপক্স রোগী ছাড়া পেয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে, প্রাণী থেকে মানবদেহে ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স। গুটিবসন্তের মতোই এ রোগের উপসর্গ, কিন্তু মারাত্মক না।
এরআগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে পরামর্শ দেয়া বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাব বন্ধের সুযোগ আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি দুই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। কাজেই প্রাদুর্ভাব চূড়ায় পৌঁছাতে বেশি সময় নেবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ শাখা পূর্বাভাস দিয়ে বলছে, আগামী ২ আগস্ট নাগাদ ৮৮টি দেশে ২৭ হাজার মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলেন, সংক্রমণ নিয়ে পূর্বাভাস দেয়া কঠিন। কিন্তু কয়েক মাস ধরে সংক্রমণ টেকসই থাকতে পারে। কাজেই মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে।