আপেল, কমলালেবু খেয়ে খেয়ে যদি বিরক্ত হয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে এবার তালিকায় রাখুন খেজুর। খেজুর খান না যারা, তারা কিন্তু প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করছেন। বর্ষার এই মরসুমে সুস্থ থাকতে কেন খেতেই হবে খেজুর?
১) খেজুর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। যাদের রক্তের হিমগ্লোবিনের মাত্রা কম রয়েছে, তারা খেজুর খান। খেজুর থেকে রক্তস্বল্পতা রোগীদের শারীরিক শক্তিও বাড়বে।
২) খেজুর শরীরে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে, যার ফলে রাতে ভাল ঘুম হয়। তাই অনিদ্রাজনিত সমস্যা এড়াতে নিয়মিত খেজুর খান।
৩) শরীরে কোনও সংক্রমণ হলে তার থেকেও প্রতিরোধ করতে পারে খেজুর। যাদের অ্যালার্জির ধাত রয়েছে, তারা খেজুর খেলে উপকার পাবেন।
৪) খেজুরে শর্করার পরিমাণ ভাল থাকায় শরীরচর্চার ক্লান্তি ঝরাতেও সাহায্য করে এটি। সবচেয়ে সুবিধার বিষয় হল খেজুর খেলে ওজন বাড়ে না। তাই শরীরচর্চার ক্লান্তি কাটাতে খেতেই পারেন খেজুর।
৫) খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার থাকায় বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কম হয়।
কী ভাবে খাবেন?
সারাদিন ধরে খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। তাই নির্দিষ্ট কিছু সময় মেনেই খেজুর খান। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেজুর খেতে পারেন। হিমোগ্লোবিন কম থাকলে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর খেজুর খান। বয়ঃসন্ধিতে রয়েছেন যারা, তারাও দুপুরের খাবারের পর খেতে পারেন খেজুর।