বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের আন্দোলন, অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করছেন ! জেনে নিন ক্ষতি কতটা ! সব হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ঘোষণা চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, জরুরি বিভাগসহ সব সেবা বন্ধ ঢামেকে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা -স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ স্বাস্থ্যের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন ছড়িয়ে পড়ছে এমপক্স ভাইরাস, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ডব্লিওএইচওর ঢাকা মেডিকেলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ! পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের সুপার-স্পেশালিটি হেলথ-কেয়ার “নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল-এনপিএমসিএইচ” বাজারে ৬৫ হাজার টাকার ‘ভুয়া’ ক্যান্সার ইনজেকশন

দেশের কোনো মানুষকে ফ্লোরে চিকিৎসা সেবা নিতে হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

দেশের সর্বমোট ৫০টি জেলায় ৭৪টি শেখ রাসেল SCANU কেন্দ্র উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে এখনো সরকারি হাসপাতালে গেলে দেখা যায় এতো রোগী ভর্তির জন্য ভিড় করে যে, সেই চাপ সামলাতে রোগীদের হাসপাতালের ফ্লোরেও চিকিৎসা সেবা দিতে হয়। সেবার বিষয়টি ঠিক আছে, কিন্তু ফ্লোরে চিকিৎসা সেবা দেওয়াটি খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। এটি আর হতে দেয়া যাবে না। 

আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অডিটোরিয়াম হলে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৪টি শেখ রাসেল SCANU (বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্র) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভালো চিকিৎসা দিতে পারে এবং থাইল্যান্ড চিকিৎসা সেবা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ করতে পারে তাহলে আমরাও চিকিৎসা সেবা দিয়ে মানুষের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব। একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসবে, সেই মানুষ হাসপাতাল থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা লাভ করবে এটিই স্বাভাবিক। এজন্য কেউ চিকিৎসা নিতে এসে জায়গা না পেয়ে ফ্লোরে চিকিৎসা নেবে এটা অচিরেই বন্ধ করতে সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এজন্যই এবার আমরা মাঠে নেমে যাচ্ছি।’ 

জাহিদ মালেক বলেন, ‘ঢাকার পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলা শহরের হাসপাতাল সেবা ব্যাবস্থা মনিটরিং করার জন্য মন্ত্রণালয়ে দুটি মনিটরিং টিম করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে প্রতিটি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ঢাকার মানের উন্নত হাসপাতাল দেশের আট বিভাগেই করা হচ্ছে। এতে ঢাকার উপর চাপ কমে যাবে। একইসঙ্গে ঢাকার ঢামেক হাসপাতালকে এমনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে যে, এটি বাস্তবায়ন করার পর হাসপাতাল হবে সবচেয়ে বেশি রোগীর উন্নত চিকিৎসা সেবা দেয়া দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ভালো ও আদর্শ চিকিৎসা কেন্দ্র।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে বছরে ৯০ হাজার শিশু জন্মকালীন বিভিন্ন সমস্যায় মারা যায়। এদের ৫২ শতাংশই মারা যায় জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। এই মৃত্যুর প্রায় সবই হয় বাড়িতে প্রসবকালীন সময়ে। এজন্যই শিশুর জন্মকালীন প্রতিটি মায়েদেরকে হাসপাতালে নেয়া উচিৎ ও সরকারি চিকিৎসা সেবা দেয়া উচিৎ। 

শিশুদের জন্য SCANU সেবা চালু হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের প্রায় এক লাখ শিশুর জীবন রক্ষা করেছে SCANU সুবিধা।  এ কারণে দেশের শিশু মৃত্যহার এখন উল্লেখযোগ্য হারেও কমতে শুরু করেছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভা শেষে দেশের ৫০টি জেলায় ৭৪টি শেখ রাসেল SCANU কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান, ইউনিসেফের প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. আহমেদুল কবীর সহ অন্যান্য বক্তারা। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ টিটু মিয়া ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ ফলো করুন

Categories