ড্রাগন ফল বর্তমানে বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই অতি পরিচিত।
গ্র্যাগন ফল বা পিটায়া বা পিটাহায়া আমেরিকার আদি ক্যাকটাস প্রজাতির ফল। ড্রাগন ফল পেরু, মেক্সিকো, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ক্যারিবিয়ান, অস্ট্রেলিয়া, মেসোআমেরিকা এবং বিশ্বের গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে চাষ করা হয় ।
বিদেশি এই ফলটির স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক।
ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তশূন্যতা দূর করতেও অনেক কার্যকরী।
এ ছাড়া ড্রাগন ফলের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
১. রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় কোষের ক্ষতি থেকে হওয়া রোগের বিরুদ্ধে লড়ে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য হৃদরোগ, ক্যানস্যার, ডায়াবিটিস এবং আর্থ্রাইটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
২. হজমে সাহায্য
এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এ ফলটি অনেকটা পিচ্ছিলজাতীয় হওয়ায় এটি হজমে অনেক ভালো।
৩. পেটের গণ্ডগোলের ঝুঁকি কমায়
ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রিবায়োটিক পেটের উপকার করে। আন্ত্রিকের সংক্রমণের ঝুঁকি কমতে পারে।
৪. আয়রন বাড়ায়
শরীরে আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে এই ফল। আর আয়রন আপনার পুরো শরীরজুড়ে অক্সিজেন পরিবহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৫. ম্যাগনেসিয়ামের উৎস
এক কাপ ড্রাগন ফলে যে পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম থাকে তা অধিকাংশ ফলের তুলনায় বেশি। ম্যাগনেসিয়াম এমন একটি খনিজ, যা হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।
সম্পাদনাঃ পুষ্টিবিদ লাবনী হোসেন !