মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করছেন ! জেনে নিন ক্ষতি কতটা ! সব হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ঘোষণা চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, জরুরি বিভাগসহ সব সেবা বন্ধ ঢামেকে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা -স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ স্বাস্থ্যের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন ছড়িয়ে পড়ছে এমপক্স ভাইরাস, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ডব্লিওএইচওর ঢাকা মেডিকেলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ! পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের সুপার-স্পেশালিটি হেলথ-কেয়ার “নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল-এনপিএমসিএইচ” বাজারে ৬৫ হাজার টাকার ‘ভুয়া’ ক্যান্সার ইনজেকশন দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ৫ম জাতীয় সম্মেলনে – প্রধানমন্ত্রী

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হয়ে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। পরে বেলুন ওড়ানো ও শান্তির প্রতীক কবুতর অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে শুরু হয় সম্মেলনের মূল কার্যক্রম।

এদিকে, সকাল থেকে সম্মেলনে যোগ দিতে আসা সদস্যদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। তাদের গায়ে বিভিন্ন রংয়ের পোশাক, অনেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল আর ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সম্মেলনস্থলে আসেন।

সাত বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সম্মেলন সফল করতে গত দুই সপ্তাহ ধরে স্বাচিপের নেতাকর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করছেন।

স্বাচিপ নেতৃবৃন্দের দাবি, রাজধানীসহ সারাদেশের প্রায় ২০ হাজার চিকিৎসক এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে স্বাচিপের সদস্য সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি। প্রতি পাঁচ বছর পর পর সংগঠনটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর স্বাচিপের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলেও ওই দিন কমিটি গঠনের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়ে সম্মেলন স্থগিত করা হয়। সম্মেলনের পাঁচ দিন পর ১৮ নভেম্বর অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলানকে সভাপতি ও অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজকে মহাসচিব নির্বাচিত করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। স্বাচিপের এ সম্মেলন আরও আগে হওয়ার কথা থাকলেও করোনাসহ নানা জটিলতার কারণে ৫ম জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরুর সার্বিক কার্যক্রম আজ সন্ধ্যায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে।

স্বাচিপের সম্মেলনে সভাপতি ও মহাসচিব পদে কোন দুজন আসছেন তা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। কেউ বলছেন পুরোনো, অভিজ্ঞ ও দলের প্রতি আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এমন প্রবীণ চিকিৎসক নেতাদের মধ্যে থেকেই সভাপতি ও মহাসচিব নির্বাচিত হবেন।

স্বাচিপ সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলন হলেও নেতৃত্ব নির্বাচনের দায়িত্ব কাউন্সিলররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর ছেড়ে দিবেন। তিনি যাদেরকে নির্বাচন করবেন, তারাই হবেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপের নেতা।

সংগঠনটির সভাপতি ও মহাসচিব পদে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক আলোচনায় রয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও প্রখ্যাত নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান, বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং স্বাচিপের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান।

আর মহাসচিব পদে আলোচনায় আছেন স্বাচিপের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ডা. শাহরিয়ার নবী শাকিল, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং স্বাচিপের কার্যকরি কমিটির সদস্য ডা. মো. তারিক মেহেদী (পারভেজ), বিএসএমএমইউর সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন ও ডা. কাজল কুমার কর্মকার।

বিএসএমএমইউর সাবেক ভিসি ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, স্বাচিপের সম্মেলন অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও সফল হবে। বিভিন্ন জেলা থেকে চিকিৎসকরা আসবেন এবং উৎসমুখর পরিবেশে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী চিকিৎসকদের মাঝে প্রবল আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর উপরই কাউন্সিলরা হয়তো দায়িত্ব দিয়ে দিবেন। তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে খোঁজ খবর নিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। তিনি নিশ্চয়ই যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।’

স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। স্বাচিপ একটি রাজনৈতিক দলের সহযোগী সংগঠন। আমাদের সংগঠনের মূল চালিকা শক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর কথাই চূড়ান্ত। তিনি যেটা করবেন ও দিকনির্দেশনা দিবেন, সেটাই মঙ্গলজনক।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির বলেন, এবারের সম্মেলন সুন্দর ও প্রাণবন্ত হবে। সম্মেলনের মাধ্যমে ভালো ও ডায়নামিক নতুন নেতৃত্ব আসবে। নতুনদের জায়গা করে দিতেই সম্মেলন। দীর্ঘদিন মাঠে যারা কাজ করছেন, তাদের মধ্যে থেকেই নতুন নেতৃত্ব আসবে।

এদিকে স্বাচিপের সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের কিছু এলাকায় সড়ক বন্ধ রাখা বা রোড ডাইভারশন দিয়েছে ডিএমপি। এজন্য সম্মেলন চলাকালীন জনসাধারণকে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ ফলো করুন

Categories