“ফিজিওথেরাপি” শব্দটির সাথে আজকাল আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। ফিজিওথেরাপি শব্দটিতে রয়েছে দুটি অংশ, ফিজিও বা ফিজিকাল এবং থেরাপি।
কেমোথেরাপিতে যেমন হয় ওষুধ দিয়ে রোগের উপশম করা হয়, সেরকমই ফিজিও থেরাপিতে নানান শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে রোগ নিরাময় করা হয়।
ফিজিওথেরাপির মূল লক্ষ্য হলো দৈনন্দিন জীবনে আমাদের চলাফেরা যেন ব্যথামুক্ত হয়।
ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে আমরা যেসব সমস্যা থেকে নিরাময় পেতে পারি সেগুলো হলো–
১. বিভিন্ন ধরনের মাথা, ঘাড়, কাঁধ, পিঠ, কোমর ও হাঁটুর ব্যথা,
২. বাত-ব্যথা,
৩. আঘাতজনিত ব্যথা,
৪. প্যারালাইসিস,
৫. সড়ক দুর্ঘটনার আঘাত,
৬. শারীরিক প্রতিবন্ধতা,
৭. বিকলাঙ্গতা,
৮. পক্ষাঘাত,
৯. স্পোর্টস ইনজুরির।
এ ছাড়াও বড়ো কোনো অস্ত্রোপচারের পর রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অন্যতম প্রধান চিকিৎসাই হলো ফিজিওথেরাপি।
একজন ফিজিথেরাপিস্ট প্রাথমিকভাবে আপনার শারীরিক অবস্থাকে মূল্যায়ন এবং রোগ নির্ণয় করে আপনার উপযোগী ব্যায়ামের পরামর্শ দিবেন যা আপনাকে সক্রিয় এবং সুস্থ করে তুলবে।
তবে খেয়াল রাখতে হবে, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে যেতে হবে। অনেক সময় হাসপাতালে বা ক্লিনিকে ভর্তি থেকেও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হয়। সেক্ষেত্রে রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।
বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার নিয়ে থাকেন। কিন্তু এর মধ্যে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পান না এবং অপচিকিৎসার শিকার হন। আমাদের দেশে এই চিকিৎসাসেবাতে বিভিন্ন মহলের অপপ্রচার ও অনভিজ্ঞ লাইসেন্সহীন অসাধু লোকের জন্য সাধারণ মানুষ সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তাই, শারীরিক ব্যথাহীন আনন্দময় জীবনের জন্য কিংবা বিভিন্ন মেকানিক্যাল অসুস্থতা থেকে নিরমায় পেতে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে যাওয়া আমাদের সকলের জন্যই ভালো।
তথ্যসূত্রঃ Healthline