মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করছেন ! জেনে নিন ক্ষতি কতটা ! সব হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ঘোষণা চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, জরুরি বিভাগসহ সব সেবা বন্ধ ঢামেকে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা -স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ স্বাস্থ্যের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন ছড়িয়ে পড়ছে এমপক্স ভাইরাস, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ডব্লিওএইচওর ঢাকা মেডিকেলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ! পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের সুপার-স্পেশালিটি হেলথ-কেয়ার “নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল-এনপিএমসিএইচ” বাজারে ৬৫ হাজার টাকার ‘ভুয়া’ ক্যান্সার ইনজেকশন দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে

এইডস (AIDS) এর প্রতিষেধক আবিষ্কার ! ?

World AIDS Day 2020 — Global solidarity, resilient services

এইডস ( AIDS ) এর প্রতিষেধক আবিষ্কার !? মানুষ যদি সফল হতো শুনতে ভালই লাগতো । বিজ্ঞানীরা সেই সুখবর এখনো দিতে পারেন নি । রোগটি সম্পর্কে বিস্তর জানা খুবই প্রয়োজন । আসুন আসল আলোচনায় যাওয়া যাক ।

২০১৯ এর শেষ থেকে সারা বিশ্বে করোনা মহামারী তার ব্যাপক প্রকোপ দেখাতে শুরু করে। ২০২০ তে ২০০+ দেশ ও প্রায় ৬০০+ কোটি মানুষ এর আয়তায় পড়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে বিজ্ঞানীদের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা কিন্তু মাত্র এক বছরের মাথায় এর ভ্যাকসিন বাজারে আসতে শুরু করে। যা এই রোগের প্রতিরোধে ব্যাপক সাহায্য করে।

১৯৭০ সালের শেষ দিকে পূর্ব ও মধ্য আফ্রিকায় এর ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল বলে ধারণা করা হয় । তবে তখনও ভাইরাসটি আবিষ্কৃত হয়নি । ১৯৮১ সালে আমেরিকার লস এঞ্জেলেসে সর্বপ্রথম AIDS এর লক্ষণযুক্ত রোগী শনাক্ত করা হয় । ১৯৮২-৮৫ সালে পশ্চিম ইউরোপ, অষ্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে ।

১৯৮৬ সালে এই ভাইরাসটির নামকরন করা হয় HIV । ২০২২ এ সারা বিশ্বে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় চার কোটি এই রোগে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যাও প্রায় চার কোটি! প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশিও হতে পারে। তবে রোগীর মধ্যে প্রায় ৪০ ভাগ রোগীই চিকিৎসার আওতায় নেই। প্রতিবছর আনুমানিক ১৮ লক্ষ নতুন এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এই রোগ সম্পর্কে জানার পর পেরিয়ে গিয়েছে দীর্ঘ ৪০ বছর। কিন্তু এখনও বিশ্বের কোনও দেশই এর প্রতিষেধক তৈরি করতে পারেনি।

১. HIV ও এইডস ( AIDS ) কি? এই রোগ কিভাবে মানব শরীরের ক্ষতি করে ?

HIV এর পূর্ণ রূপ—

  • H—Human (মানুষ)
  • I—Immunodefficiency (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি)
  • V—Virus (ভাইরাস বা অনুজীব)

AIDS এর পূর্ণ রূপ—

  • A—Acquired (অর্জিত বা অন্য মানুষের কাছ থেকে পাওয়া)
  • I—Immune (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা)
  • D—Defficiency (ঘাটতি বা অভাব)
  • S—Syndrome (উপসর্গসমূহ)

এইচআইভি-১ ভাইরাসটি দক্ষিণ ক্যামেরুনে সিআইভি (সিপিজি) নামক ভাইরাসের বিবর্তনের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়েছে। সিআইভি হল “বানরজাতীয় প্রাণীর প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস”, যা বন্য শিম্পাঞ্জিকে সংক্রামিত করে। ভাইরাসটি নিজে যেমন এসেছে বিবর্তনের মাধ্যমে তেমনি নিজেও বারবার বিবর্তিত হতে পারে। যে কোনও প্রতিষেধক তৈরির পর সেটি মানব শরীরে প্রয়োগের আগে কোনও সমতুল্য ডিনএ-গঠনযুক্ত প্রাণীর শরীরে প্রয়োগ করে দেখা হয়।

কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এইডসের প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে এমন কোনও প্রাণীর মডেল নেই, যার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন মানুষের জন্য প্রস্তুত করা যেতে পারে। এইডসের (AIDS) ভাইরাস অত্যন্ত দ্রুত তার চরিত্র ও গঠনে পরিবর্তন ঘটায়। ফলে কোনও নির্দিষ্ট চরিত্র ও গঠন অনুযায়ী তৈরি প্রতিষেধক এই ভাইরাসকে রুখতে পারে না। তাই দীর্ঘ ৪০ বছর পরেও এইডসের (AIDS) প্রতিষেধক তৈরি করে উঠতে পারেননি বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীরা।

এইচআইভি এমন একটি ভাইরাস যেটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দেয় এবং জীবাণু সংক্রমণের বিরুদ্ধে মানবদেহকে প্রতিরোধহীন করে নিরাময়হীন অবস্থায় নিয়ে যায়। HIV ভাইরাস মানুষের শরীরের টি-সহায়ক কোষগুলিকে (T-helper cell) আক্রমণ করে যেগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্যে অতীব প্রয়োজনীয়। HIV ভাইরাস কোনরকম লক্ষণ ছাড়াই ১০ বছর পর্যন্ত মানুষের শরীরে নিরবে বাস করতে পারে।

একবার সংক্রামক HIV (মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস) শরীরে ঢুকলে তাকে পুরোপুরি দূর করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি, তাই HIV সংক্রমণ হলে এইডস প্রায় অনিবার্য। তবে বিনা চিকিৎসায় এইডস পর্যায়ে পৌঁছতে যদি লাগে গড়ে দশ বছর, তবে চিকিৎসার দ্বারা তাকে আরো কিছু বছর পিছিয়ে দেওয়া যায়। চিকিৎসাও খুবই ব্যয়বহুল।

২ . বিজ্ঞানীরা এইডস ( AIDS ) প্রতিষেধক তৈরী করতে কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন???

এইচআইভি’র চিকিৎসায় নানাবিধ অগ্রগতি হলেও এই ভাইরাসের নিশ্চিত প্রতিষেধক এখনও মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে। এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করার পর দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সাথে মানিয়ে নিয়ে টিকে থাকতে পারে, যা এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরীর পেছনে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে মনে করা হয়। এই প্রতিষেধক নিয়ে দীর্ঘ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মানব শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে, এমন কোনও প্রতিষেধকই এইডসের (AIDS) বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। রোগীর শরীরে রোগ প্রতিরোধক অ্যান্টিবডি তৈরি করে প্রতিষেধক কেবল এই ভাইরাসের সংক্রমণের গতি কমিয়ে দেয়, কিন্তু এটিকে থামাতে পারে না। HIV সংক্রমণের পরে রোগীর স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার অসম্ভব হয়ে পড়ে। HIV-তে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে কোনও রকম প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করে না বলে বিজ্ঞানীরা প্রতিষেধকের সাহায্যে শরীরে অ্যান্টিবডির সংখ্যা বা শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে না। HIV এমন ধরনের ভাইরাস যা দীর্ঘদিন কোনও রকম উপসর্গ ছাড়াই আক্রান্তের শরীরে লুকিয়ে থাকতে পারে, বাড়তে থাকে। ফলে ডিএনএ-তে লুকানো ভাইরাস খুঁজে পাওয়া এবং সেটিকে ধ্বংস করা শরীরের অ্যান্টিবডির পক্ষেও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও এই ভাইরাসকে দমন করার ক্ষেত্রে একই রকম সমস্যা হয়। অনেক ক্ষেত্রে শরীরে বাসা বাঁধা দুর্বল ভাইরাসকে কাজে লাগিয়ে, তার ডিএনএ-র গঠন বিশ্লেষণ করে প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু HIV-এর এর ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া কার্যকর হয়নি। তাছাড়া, অধিকাংশ প্রতিষেধক মানুষের শ্বাসযন্ত্র এবং অন্ত্রের মাধ্যমে ক্রিয়াশীল হয়। কিন্তু HIV মানুষের যৌনাঙ্গ ও রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে দ্রুত সংক্রমিত হয়। ফলে একে রোখা বেশ মুশকিল।

৩. এইডস রোগী এর লক্ষণ কি কি ? সেটি শরীরের কি কি ক্ষতি করে ?
মানবদেহে এইচআইভি প্রবেশ করার সাথে সাথেই শরীরে এইডস এর লক্ষণ দেখা যায় না। এইচআইভি শরীরে প্রবেশ করার ঠিক কতদিন পর একজন ব্যক্তির মধ্যে এইডস এর লক্ষণ দেখা দেবে তা ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এবং অঞ্চলভেদে ভিন্ন হয়। তবে এটা মনে করা হয়ে থাকে যে, এইচআইভি সংক্রমণের শুরু থেকে এইডস- এ উত্তরণ পর্যন্ত সময়ের ব্যাপ্তি সাধারণত ৬ মাস থেকে বেশ কয়েক বৎসর এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ৫-১০ বৎসর অথবা তারও বেশি। এই সুপ্তাবস্থার তাৎপর্য হচ্হে, এই সময়ের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমিত একজন ব্যক্তি (যার শরীরে এইডস -এর কোন লক্ষণ যায় নি বা যে আপাতদৃষ্টিতে সুস্খ) তার অজান্তেই অন্য একজন সুস্থ ব্যক্তির দেহে এইচআইভি ছড়িয়ে দিতে পারে।

HIV ভাইরাস কোন ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করার পর ২-৪ সপ্তাহ পর আক্রান্ত ব্যক্তির হাল্কা জ্বর, র‌্যাশ, দুর্বলতা, গলা ব্যথা, হাতে পায়ে ব্যথা, মুখে ঘা ইত্যাদি হতে পারে । এ সময় ভাইরাসের সংখ্যা অত্যাধিক থাকে । এরপর ৩-১২ সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির (পোষক) দেহের রোগ প্রতিরোধ সিস্টেমটি প্রবলভাবে সংগ্রাম করার মাধ্যমে HIV ভাইরাসের বিরুদ্ধে এন্টিবডি বা প্রতিরোধ তৈরী করে, যার ফলে ভাইরাসের আক্রমন কিছুটা মন্থর হয় ।

এই অবস্থায় ৩-১২ সপ্তাহ পর আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা করলে HIV এন্টিবডি পাওয়া যাওয়া যাবে । এরপর আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ৭-১০ বছর কোন রকম উপসর্গ ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু তার দেহের CD4 কণিকাগুলি এ সময় ধীরে ধীরে ভাইরাস দ্বারা গোপনে এবং অজ্ঞাতে ধ্বংস হতে থাকে ।

এই ৭-১০বছরকে বলা হয় ভাইরাসটির সুপ্ত অবস্থা (Latent Period) । ৭-১০ বছর পর আক্রান্ত ব্যক্তির দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতই কমে যায় যে নানা রকম সুযোগসন্ধানী রোগ তাকে আক্রমন করে । একজন HIV পজিটিভ ব্যক্তির মধ্যে যখন একাধিক সুযোগসন্ধানী রোগের ইনফেকশন বা সংক্রমন দেখা দেয়, তখন ঐ অবস্থাকে AIDS বলা হয়, যা পরবর্তী ২-৩ বছরে পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারন করে । এরপর রোগী অকালে দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু বরন করে থাকে ।

আসলে HIV কোন ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করার ঠিক কতদিন পর ঐ ব্যক্তির মধ্যে AIDS এর লক্ষন দেখা দেবে তা ঐ ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এবং অঞ্চল ভেদে ভিন্ন হয় । তবে মনে করা হয়, এর জন্য ৬ মাস থেকে শুরু করে ৫ বা ১০ বছর পর্যন্ত লাগতে পারে ।

এইডস -এর নির্দিষ্ট কোন লক্ষণ নেই। তবে, এইডস আক্রান্ত ব্যাক্তি অন্য যে রোগে আক্রান্ত হয় সে রোগের লক্ষণ দেখা যায়। এই লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে:

  • (১) শরীরের ওজন অতি দ্রুত হ্রাস পাওয়া
  • (২) দীর্ঘদিন (দুমাসেরও বেশি সময়) ধরে পাতলা পায়খানা
  • (৩) পুন: পুন: জ্বর হওয়া বা রাতে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
  • (৪) অতিরিক্ত অবসাদ অনুভব হওয়া
  • (৫) শুকনা কাশি হওয়া ইত্যাদি।

৪. এইডস রোগ কি ভাবে মানব শরীরের ছড়িয়ে পড়ে?

  • ১. বায়ু, জল, খাদ্য অথবা সাধারণ ছোঁয়ায় বা স্পর্শে এইচআইভি ছড়ায় না।
  • ২. রোগীর সাথে কাজ , চলাফেরা বা স্বাভাবিক মেলামেশা করলে এইডস হয় না।
  • ৩. রোগীর হাচি, কাশি, থুথু, বা মশা মাছির মাধ্যমে এইডস ছড়ায় না।
  • ৪. কেবলমাত্র আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে অন্য কোন সুস্থ ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাসটি প্রবেশ করতে পারে । ফ্লুইডগুলো হচ্ছে—
  • রক্ত
  • বীর্য
  • ভ্যাজাইনাল ফ্লুইড (নারীর যোনীরস)
  • মায়ের বুকের দুধ ।

সুনির্দিষ্টভাবে যে যে উপায়ে এইচআইভি ছড়াতে পারে তা হল:

  • ১) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত রোগীর রক্ত বা রক্তজাত পদার্থ অন্য কোন ব্যক্তির দেহে পরিসঞ্চালন করলে
  • ২) আক্রান্ত ব্যাক্তি কতৃক ব্যবহৃত সুচ বা সিরিঞ্জ বা ঘা সৃষ্টিকারী যেমন, ছুরি, ব্লেড, ডাক্তারী কাচি অন্য কোন ব্যক্তি ব্যবহার করলে
  • ৩) আক্রান্ত ব্যক্তির কোন অঙ্গ অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করলে
  • ৪) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত মায়ের মাধ্যমে (গর্ভাবস্থায়, প্রসবকালে বা সন্তানের মায়ের দুধ পানকালে)
  • ৫) অনৈতিক ও অনিরাপদ দৈহিক মিলন করলে
  • ৬) এইডস রোগীর সাথে কোন রকম জন্ম নিরোধক (কনডম) ছাড়া যৌন মিলন করলে।

উল্ল্যেখ যে কারো মধ্যে উপরিউক্ত একাধিক লক্ষণ দেখা দিলেই তার এইডস হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। তবে, কোন ব্যক্তির এসব লক্ষণ দেখা দিলে বিলম্ব না করে অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

৫. কি ভাবে নিজেকে এইডস রোগ থেকে বাঁচবেন?
এইচআইভি সংক্রমণের উপায়গুলো জেনে এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা এইডস প্রতিরোধ করতে পারি। এইডস প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা হল:

  • ১) অন্যের রক্ত গ্রহণ বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনে আগে রক্তে এইচআইভি আছে কিনা পরীক্ষা করে নেয়া
  • ২) ইনজেকশন নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবারই নতুন সুচ/সিরিঞ্জ ব্যবহার করা
  • ৩) অনিরাপদ যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকা
  • ৪) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত মায়ের সন্তান গ্রহণ বা সন্তানকে বুকের দুধ দেয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া
  • ৫) কোন যৌন রোগ থাকলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া

৬. এইডস রোগের কি কোনো চিকিৎসা আছে ?

দুর্ভাগ্যবসত এইডস রোগের কোন চিকিতসা এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গবেষকরা এ পর্যন্ত অনেক ঔষধ আবিষ্কার করেছে।

১ . প্রথম গ্রুপ এর ঔষধের নাম Nucleoside reverse transcriptase inhibitors, যা HIV সংক্রমনকে বিলম্বিত করে।

২. দ্বিতীয় গ্রুপ এর নাম Protease inhibitors যা HIV ভাইরাস replication এ বাধা সৃষ্টি করে।

যেহেতু এদের শুধু যে কোন একটি গ্রুপ এর ঔষুধ একা শরীরে কার্যকর হয়না, তাই সম্বিলিত ঔষধ দেয়া হয়। এই চর্চাকে বলা হয় HAART, Highly Active Antiretroviral Therapy. যদি ও HAART এইডস উপশম করেনা, তবে এইডস রোগীর মৃত্যুসংখ্যা কমাতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ ফলো করুন

Categories