ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে দেশের সব মেডিকেল কলেজে মানববন্ধন করছেন চিকিৎসকরা
রোববার দেশের সব মেডিকেল কলেজ, জেলা, উপজেলা ও প্রাইভেট হাসপাতালে দুপুর ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত এই মানববন্ধন সফল করার জন্য সমবেত হন চিকিৎসকরা। এবং পরের দুই দিন কর্মবিরতি পালন করবেন তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে দুই দিন ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখা ও অস্ত্রোপচার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন গাইনি চিকিৎসকরা।
আগামী সোম ও মঙ্গলবার এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে গাইনি ও প্রসূতিবিদ চিকিৎসকদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনিকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)। এর আগের দিন সংগঠনটি মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করবে।
ওজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফারহানা দেওয়ান, শনিবার সংগঠনটির নেতারাও এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বাংলা হেলথ টিভি’কে জানিয়েছেন ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, শনিবার ওজিএসবি নেতারা বাংলাদেশ মেডিকেল সোসাইটি (বিএমএ) এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা ও ডা. মুনা সাহার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তিন দিনের কর্মসূচি পালনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার কর্মবিরতির শেষে আবার বিএমএর সঙ্গে বসে পরবর্তী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে গাইনি চিকিৎসকদের সংগঠনটি।
স্বাভাবিক উপায়ে সন্তান জন্ম দিতে গত ৯ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কৃমিল্লার প্রসূতি মাহবুবা রহমান আঁখি। সেখানে পরদিন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার সন্তানের জন্ম হয়। ওই নবজাতক সেদিনই মারা যায়।
এরপর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আঁখিকে পাশের ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; যেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ জুন মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মামলা করলে পুলিশ সেন্ট্রাল হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা ও ডা. মুনা সাহাকে ১৫ জুন গ্রেপ্তার করে। এখনও তারা কারাগারে আটক আছেন। জামিন চেয়ে করা তাদের একাধিক আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
কুমিল্লার গৃহবধু আঁখি সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক সংযুক্তা সাহার অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ ঘটনার জন্য সংযুক্তা সাহা ও সেন্ট্রাল হাসপাতাল একে অন্যেকে দোষারোপ করে আসছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি