ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশের ভবিষ্যৎ চিকিৎসকদের সৎ ও স্বচ্ছ মনের এবং সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ সকাল ১০ টায় প্রথমে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র এবং সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন পরিদর্শন করেন ।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মেডিকেল এর অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত মিডিয়া কর্মীদের ব্রিফিং করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এবারের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সকল কেন্দ্রেই বিশেষ সতর্কতা নেওয়া ছিল। প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাঙ্কে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যার মাধ্যমে অধিদপ্তর হতে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা নেওয়া কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে কেন্দ্র ম্যাজিস্ট্রেট সহ কারো কাছেই কোনরকম মোবাইল যন্ত্র এলাউড ছিল না। কোন মেডিকেল কোচিং গত এক মাস খোলা ছিল না। পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে কোনরকম প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর সুযোগ দেয়নি আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে। মোট কথা, এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যতরকম সতর্ক থাকা যায়, আমরা থেকেছি।
তিনি বলেন, ‘আমি চাই দেশে সৎ ও উন্নত মানের ডাক্তার তৈরি হোক। নিজে সারাজীবন সৎ থেকেছি, এদেশের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিটি ডাক্তারও সততা নিয়ে, স্বচ্ছতা নিয়ে মানুষের সেবা করে জীবন পার করে দিবে আমি সেটাই চাই।’
এবছর এমবিবিএস ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে বিগত কয়েক বছর অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে এবং একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আজ সকাল ১০টা হতে ১১ টা পর্যন্ত ০১ ঘন্টাব্যাপী দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মোট ৫ হাজার ৩৮০ টি আসনের বিপরীতে এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭ টি মেডিকেল কলেজের মোট ৬ হাজার ২৯৫ টি আসনের বিপরীতে এবছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।