রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করছেন ! জেনে নিন ক্ষতি কতটা ! সব হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ঘোষণা চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, জরুরি বিভাগসহ সব সেবা বন্ধ ঢামেকে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা -স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ স্বাস্থ্যের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন ছড়িয়ে পড়ছে এমপক্স ভাইরাস, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ডব্লিওএইচওর ঢাকা মেডিকেলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ! পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের সুপার-স্পেশালিটি হেলথ-কেয়ার “নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল-এনপিএমসিএইচ” বাজারে ৬৫ হাজার টাকার ‘ভুয়া’ ক্যান্সার ইনজেকশন দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে

একটি হাসপাতালের সুনাম ডাক্তার থেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ সবার উপর নির্ভর করে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৯ মার্চ, ২০২৪ (বাসস) : ডাক্তার ও রোগীদের ভালো সম্পর্ক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করছে। একটি হাসপাতালের সুনাম শুধু ডাক্তারদের উপর নির্ভর করে না। পরিচালক থেকে শুরু করে অধ্যাপক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ সবার উপর নির্ভর করে।

আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এ ব্লক অডিটোরিয়ামে এমডি/ এমএস প্রোগ্রাম ফেইজ-এ ভর্তিকৃত রেসিডেন্টদের ইনডাকশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত  লাল সেন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

তিনি নবীন চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি বিশ্বাস করি,আমরা চিকিৎসকদের মান সম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে পারব। কোন একদিন এই দেশের মানুষ চিকিৎসকদের দেখলে শ্রদ্ধায় অবনত হবে। এদেশের সাধারণ মানুষ বেশী কিছু চায় না। এটি করতে হলে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে, তাদের সেবা দিতে হবে। কেমন আছেন এটুকু বলা-এগুলো তাদের চাওয়া-পাওয়া। সুতরাং চিকিৎসকদের একটু ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শুনতে হবে, ধৈর্য নিয়ে রোগীদের সেবা দেয়াকে গুরুত্ব দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ।
এবার ইনডাকশন প্রোগ্রামে ১ হাজার ৪’শ ২৩ জন চিকিৎসক অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হবার জন্য শপথ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে রেসিডেন্টদের শপথ বাক্য পাঠ করান বিএসএমএমইউ উপাচার্য।
সভাপতির বক্তৃতায় অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন,বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা আরও দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি এক লাখে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকা উচিত। এখনো আমরা বেসিক সাবজেক্টকে চিকিৎসকদের আকৃষ্ট করতে পারছি না।

তিনি বলেন, বেসিক সাবজেক্ট বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলোজি, ফরেনসিক মেডিসিন ও অ্যানেসথেসিয়ার মত বিষয়ে ইনটেনসিভ দিতে হবে। তাদের বয়স বাড়াতে হবে। অন্যথায় অভিজ্ঞ কাউকে পাবো না।
তিনি বলেন,গত তিন বছরে বেসিক সাবজেক্টে অনেক আসন বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যেসব বিশেষজ্ঞ তৈরি করা হয়েছে, তাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাত অনেক দূর এগিয়ে গেছে। যা ছিল জাতির জনকের স্বপ্ন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, বেসিক সাইন্স ও প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহসহ অনেকে বক্তৃতা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ ফলো করুন

Categories