দৈনন্দিন জীবন যাপনে মানসিক প্রশান্তির জন্য রাতে ভালো ঘুম হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
CNN-এর রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন কোনও নির্দিষ্ট একটা সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে। এর ফলেই তৈরি হবে আমাদের বডি ক্লক ।
রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, নিজের মধ্যে অবসাদ কাজ করে। এভাবে দীর্ঘদিন ঘুম না হলে নানা রোগব্যাধি বাসা বাধে শরীরে। তাছাড়া একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের গড়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়।
চলুন তাহলে জেনে নেই, রাতে ঘুম না হলে শরীরের জন্য কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রাতে ভালভাবে ঘুম না হওয়ার কারন:
অনেকেই রিল্যাক্স করার জন্য টিভি দেখে, বা মোবাইল ফোন দীর্ঘ সময় ধরে বিনা কারণে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই অভ্যাসের ফলে ব্রেন স্টিমুলেট করে থাকে যা ঘুমে বিঘ্ন ঘটায়।
বিছানায় বসে এসব করলে, সহজে ঘুম নাও আসতে পারে। নিজের শারীরের যাতে ক্ষতি না হয়, সে জন্য এমন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা বন্ধ করুন। নিজের মনে প্রশান্তি আসে হবে এমন সব হাতের কাজ করার কথা বিবেচনা করুন।
নিয়মিত শরীরচর্চা
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে যেমন ঘুম তাড়াতাড়ি আসে, তেমনি একবার ঘুমিয়ে পড়লে ঘুম ভাঙে দেরিতে। কারও কারও মতে শরীরচর্চার সময় দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। শরীরচর্চার পর সেই তাপমাত্রা কমতে থাকে। ঘুমিয়ে পড়ার সময় যেভাবে দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা হ্রাস পায়, তার সঙ্গে এই তাপমাত্রা হ্রাসের মিল রয়েছে।
স্বল্প সময়ের ঘুম
লম্বা সময় ঘুমিয়ে থাকার চেষ্টা করার বদলে কিছুক্ষণ পরপর অল্প সময়ের জন্য ঘুমিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে কিছুটা হলেও দূর হতে পারে অনিদ্রার সমস্যা। অনেকেরই দুপুরে ভাতঘুম দেওয়ার অভ্যাস থাকে। এই সময় দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকলে ঘুম তো হয়ই না, উল্টো দুপুরে দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকার ফলে রাতে ঘুম আসতে চায় না। এজন্য দিনের বেলা মাঝেমধ্যে কিছু সময় ঘুমিয়ে নিতে পারলে ক্লান্তি ও মানসিক চাপের হাত থেকে কিছুটা আরাম মিলতে পারে, যা পরোক্ষভাবে অনিদ্রার সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।
রাতে আপনার ব্রেইন আগে থেকেই জানবে যে কখন ঘুমাতে হবে। আর কোন সময় রাতে ভালো ঘুম হবে এমন সময়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই বিছানায় অন্য কোন কিছু না করে সেই জায়গা শুধু ঘুমের জন্য প্রস্তুত থাকুন।