ঢাকা, ২৭ মে, ২০২৪ : বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকে। তবে এদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৫০ ভাগই জানেন না যে, তাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিধ্বংসী প্রভাব সম্পর্কে তার প্রথম প্রতিবেদনে বলেছে যে উচ্চ রক্তচাপ, যা উচ্চ রক্তচাপ নামে পরিচিত, এর বিরুদ্ধে কভারেজ বিশ্বব্যাপী বাড়ানো হলে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৭৬ মিলিয়ন মৃত্যু এড়ানো যেতে পারে।
১৯৯০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, ৬৫০ মিলিয়ন থেকে ১.৩ বিলিয়ন হয়েছে। এটি বিশ্বব্যাপী ৩০-৭৯ বছর বয়সী ৩৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে প্রভাবিত করবে বলে অনুমান করা হয়েছে, বা প্রতি তিনজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে প্রায় একজন, হাইপারটেনশন সম্পর্কিত গ্লোবাল রিপোর্ট: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সালে প্রকাশিত একটি নীরব ঘাতকের বিরুদ্ধে রেস বলেছে।
হাইপারটেনশনে আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের মধ্যে প্রায় চারজনের পর্যাপ্ত চিকিৎসা করা হয় না এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করে, রিপোর্টে আরও দেখা গেছে।
আজ সোমবার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট মিরপুর অডিটোরিয়ামে এক গণমুখী সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, উচ্চ রক্তচাপ একটি নিরব ঘাতক। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনী সহ বিভিন্ন জটিল রোগের জন্য উচ্চ রক্তচাপ একটি অন্যতম এবং মারাত্মক ঝুঁকি। এজন্য উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগসমূহ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসার জন্য জনগণ এবং চিকিৎসকসহ সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন। তবে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যসম্মত এবং নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করা প্রয়োজন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।