বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের আন্দোলন, অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করছেন ! জেনে নিন ক্ষতি কতটা ! সব হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ঘোষণা চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, জরুরি বিভাগসহ সব সেবা বন্ধ ঢামেকে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা -স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ স্বাস্থ্যের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন ছড়িয়ে পড়ছে এমপক্স ভাইরাস, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ডব্লিওএইচওর ঢাকা মেডিকেলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ! পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের সুপার-স্পেশালিটি হেলথ-কেয়ার “নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল-এনপিএমসিএইচ” বাজারে ৬৫ হাজার টাকার ‘ভুয়া’ ক্যান্সার ইনজেকশন

ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের আন্দোলন, অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করে রেখেছে সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের (সফিশিপ) সদস্যরা। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠা এবং সব সরকারি হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির পদে ফিজিওথেরাপিস্টদের নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে তারা এই আন্দোলন করছেন বলে জানান।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১০টা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নেন সরকারি-বেসরকারি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটক বন্ধ করে দেন। ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কেউ ঢুকতে পারছেন না, বেরও হতে পারছেন না।

বিভিন্ন বঞ্চনার কথা তুলে ধরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সরকার ১৯৭৩ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধীনে ৫ বছরের ফিজিওথেরাপি কোর্স চালু করলেও তাদের জন্য কোনো ধরনের ‘ক্যারিয়ার প্ল্যান’ করা হয়নি। ২০০৯ সালে স্বতন্ত্র কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হিসেবে ঢাকার মহাখালীতে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ওই উদ্যোগ আটকে যায়। সরকারি চাকরিতে বিএসসি উত্তীর্ণ ফিজিওথেরাপিস্টদের জন্য সরাসরি কোনো পদ নেই, তাই নিয়োগের কোনো সুযোগও নেই। এসব সমস্যা সমাধানের দাবি আদায়ে তারা আন্দোলন করছেন।

তারা ৬০ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা জানান, এসব দাবি পূরণের জন্য প্রায় দুই মাস আগে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসেছিলেন। তখন তাদের দাবির বিষয়টি দেখার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর আলাদা কমিটি করে দেয়া হয়।

কিন্তু কমিটির কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। তখন দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এক মাস পর কমিটি করে। কমিটির সভাও হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। পরবর্তীতে তারা আর আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।

ফলে আমরা বাধ্য হয়ে আজ অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করেছি। বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেনি, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা ৬০ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার, বিষয়টি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে চাই। অধিদপ্তরের কারও কথায় আমরা আস্থা রাখতে পারছি না।

এ ব্যাপারে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, তারা না বুঝেই আমাদের এখানে এসে আন্দোলন করছে। তাদের যে দাবি, সেটা পূরণের জন্য যেতে হবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে। কিন্তু তারা এখানে এসেছে। আমাদের এখানে যে দাবিটা ছিল খালি পদের জন্য। সেটা নিয়ে আমরা কথা বলছি। ছোট ছোট পোলাপান, তারা হয়ত বোঝেও না কিছু।

#Physiotherapist


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ ফলো করুন

Categories