২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএসে ভর্তির আবেদন করেছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৬১ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৫ হাজার ৩৮০টি। এই হিসাবে প্রতিটি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একই আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৪ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ওই বছর আসনপ্রতি ১৯ দশমিক ৩৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। সে হিসাবে এ বছর আসনপ্রতি প্রতিদ্বন্দ্বী বেড়েছে ছয়জন।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীকে ২০২৩ বা ২০২৪ সালে এইচএসসি, এ লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ২০২১ সালের পূর্বে এসএসসি, ও লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। প্রার্থীকে এসএসসি, ও লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এইচএসসি, এ লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় অবশ্যই জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন থাকতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ হতে হবে।
উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ হতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ এর কম হলে তারা আবেদন করতে পারবেন না। এছাড়া, এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০ না থাকলে প্রার্থীকে আবেদন করতে দেয়া হবে না।
বর্তমানে দেশে মোট ১১০টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৭টি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ৬৭টি, একটি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ এবং পাঁচটি বেসরকারি আর্মি মেডিকেল কলেজ।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লিখিত ভর্তি পরীক্ষা এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্ন থাকবে, প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ এবং মোট নম্বর হবে ১০০। পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০।
এই বছর পরীক্ষার যোগ্যতা পূরণের জন্য আবেদনকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। এমবিবিএসে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়।