রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের আন্দোলন, অবরুদ্ধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করছেন ! জেনে নিন ক্ষতি কতটা ! সব হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ঘোষণা চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, জরুরি বিভাগসহ সব সেবা বন্ধ ঢামেকে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা -স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ স্বাস্থ্যের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন ছড়িয়ে পড়ছে এমপক্স ভাইরাস, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ডব্লিওএইচওর ঢাকা মেডিকেলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ! পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের সুপার-স্পেশালিটি হেলথ-কেয়ার “নর্থ পয়েন্ট মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল-এনপিএমসিএইচ” বাজারে ৬৫ হাজার টাকার ‘ভুয়া’ ক্যান্সার ইনজেকশন

শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সহজ উপায়

শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য ঘুম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব শিশু বেশি ঘুমায় তাদের ওজন, দৈর্ঘ্য এবং মাথার পরিধি ঠিকভাবে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বেশিরভাগ বাবা-মাকে শিশুকে রাতে ঘুম পাড়াতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। এটি তাদের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু মা-বাবা হলে ধৈর্য রাখতেই হয়। রুটিন মেনে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে শিশুদের ঘুম পাড়ানো সহজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক, আপনার শিশুকে কীভাবে খুব সহজেই ঘুম পাড়াবেন-

ঘুমানোর সময়সূচি ঠিক করুন

প্রত্যেকের একটি অভ্যন্তরীণ ঘড়ি থাকে- যাকে বলা হয় সার্কাডিয়ান রিদম। যা দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শারীরিক কার্য পরিচালনা করে। শরীরের সার্কাডিয়ান রিদম অনুসারে, আমাদের ঘুমের সময়সূচী সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা প্রায় ১২ সপ্তাহের মধ্যে তাদের সার্কাডিয়ান রিদমের বিকাশ ঘটায়। কিন্তু এটি সব শিশুর একইভাবে নাও হতে পারে। তাই শিশুর প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ায় অভ্যাস করতে হবে। এতে তার ঠিক সময়ে ঘুমিয়ে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে

ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘরের আলো নিভিয়ে দিন |

মেলাটোনিন হলো এক ধরনের হরমোন যা ঘুমাতে এবং জেগে উঠতে সাহায্য করে। সূর্যাস্তের পর মেলাটোনিনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে এবং রাতে বেশি থাকে। সূর্যোদয়ের পরে এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়। এটি জেগে উঠতে সাহায্য করে। রাতে কৃত্রিম আলোর কারণে এই হরমোন তৈরি হওয়া ব্যহত হতে পারে। তাই রাতে কৃত্রিম আলো বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। এটি শিশুদের মেলাটোনিন তৈরি হতে সাহায্য করে।

[ Ref : https://www.smartparenting.com.ph/parenting/baby/baby-sleep-complete-darkness-a00228-20200221 ]

উষ্ণ পানিতে গোসল

উষ্ণ পানিতে শিশুকে গোসল করালে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। যার ফলে শিশুরা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন পানি উষ্ণ থাকে গরম নয়। তবে এই বিষয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া ভালো।

শিশুকে হালকা মালিশ দিন

বেবি লোশন বা তেল দিয়ে হালকা মালিশ করলে তা শিশুর শরীরকে শান্ত রাখে। যা তার ঘুমের জন্য ভালো। এছাড়াও কিছু তেল শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য ভালো। মা-বাবা প্রতিদিন শিশুকে নিজে মালিশ করলে শিশুর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়। 

বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন

শিশুরা সাধারণত ঘুমাতে ঘুমাতে মাঝে মাঝেই জেগে ওঠে। এই সময়ে তাদের কোলে না নিয়ে বিছানায় শুয়ে থাকতে দিন। এতে তাদের বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে ওঠে। যার ফলে এর পরে যখনই তারা রাতে জেগে ওঠে, আবার নিজেই ঘুমিয়ে যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেজ ফলো করুন

Categories