লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাহাদি নামে তিন বছরের এক শিশুর খতনা করতে গিয়ে অঙ্গটি পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় করা মামলায় চিকিৎসক ও তার সহকারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক তাহরিনা আক্তার নওরিন এই আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া দুজন হলেন- চিকিৎসক সরোয়ার হোসেন ও তার সহকারী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। সরোয়ার রামগঞ্জ ইসলামিয়া হাসপাতালের ডিএমএফ চিকিৎসক। তিনি উপজেলার রতনপুর এলাকার বাসিন্দা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. জাকির হোসেন বলেন, মামলার চার আসামি উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। রবি প্রধান ও চার নম্বর আসামি স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন। বাকি দুই আসামি আদালতে উপস্থিত হননি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রামগঞ্জ ইসলামীয়া হাসপাতালের (প্রা.) ডিএমএফ চিকিৎসক মো. সরোয়ার হোসেন, পরিচালক সাইফুল্লাহ মানিক, রবিউল আলম রিয়াজ ও চিকিৎসকের সহযোগী আবদুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে গত ৩১ জুলাই আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী শিশুর নানা আনোয়ার হোসেন। পরে মামলাটি রামগঞ্জ থানাকে নথিভুক্ত করার নির্দেশনা দেন আদালত।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার নাতি মাহাদিকে সুন্নতে খতনা করানোর জন্য গত ৩১ মে দুপুরে ইসলামীয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডিএমএফ চিকিৎসক মো. সরোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা লেজার মেশিনের মাধ্যমে খতনার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাব। কিছুক্ষণ পর নাতির আত্মচিৎকার শোনা যায়। তারা অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখেন, মাহাদির ওই অঙ্গটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে অন্য হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।